মার্কাস স্টয়নিসের বলে তুলে মেরেছিলেন ওয়েস। বল যায় মিড অনে, সেখানে ফিল্ডিং করছিলেন অ্যাশটন। একদমই সহজ ক্যাচ। কিন্তু সেটি নিতে গিয়েই ব্যালান্স হারিয়ে পিছলে গেলেন, বল সরাসরি লাগল নাকে।
অ্যাশটন পড়ে যান তখনই। রক্তে ভেসে যায় মুখ। সবার আগে ছুটে যান পেসার জাই রিচার্ডসন। রক্ত দেখে তিনি হাত ইশারায় ডেকে পাঠান মেডিকেল টিমকে। ছুটে যান অন্য সতীর্থরা। এগিয়ে যান ছোট ভাইও।
একটু পর অবশ্য ফিজিওর সঙ্গে নিজে হেঁটেই মাঠ ছাড়েন অ্যাশটন। তার মুখে তখন হাসিও দেখা গেছে। শুরুতে যতটা মনে করা হয়েছিল, ততটা গুরুতর ছিল না আঘাত। অমন রক্ত ঝরেছে নাক ফেটে যাওয়াতেই।
আঘাতের আগে ৯ ওভার বল করে ১ উইকেট নেওয়া অ্যাশটন আর বোলিং করেননি। ম্যাচটি জমেছিল দারুণ। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ২৫২ রানের জবাবে ক্যালাম ফার্গুসনের ১২৭ রানের অসাধারণ ইনিংসের পরও সাউথ অস্ট্রেলিয়া হেরে গেছে ৬ রানে।
২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যাশটন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে পরিচিত নাম। খেলেছেন ৪ টি টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টি। চার বছরের ছোট ভাই ওয়েস ফাস্ট বোলার, ঘরোয়া ক্রিকেটের শুরুটা করেছেন দুর্দান্ত। এই ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের শুরুর ১১ ম্যাচেই ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়ে গেছেন দুবার। শেফিল্ড শিল্ডে অভিষেক মৌসুমে ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।